Tuesday, January 16, 2018

খুব শীতে, নিঝুম দ্বীপে (পর্ব – ১)



Hatiya Moktaria Ghat - Photo from Travellers of Bangkadesh (TOB)


আরো একটি টানা ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রজেক্টে ভরপুর ব্যস্ত সেমিস্টার শেষ হলো। বেশ কিছুদিন ছুটি পেলাম। ভাবলাম ক’দিন ঘরে বসেই মুভি দেখে, গল্পের বই পড়ে আর আলসেমী করে কাটিয়ে দিবো। কিন্তু মন যে আর এই শহরেই থাকলে চাইলো না। তাই এবারে প্ল্যান করা হলো নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার। ভার্সিটির তিন বন্ধু আমি, জুবায়ের আর সজীব মিলে খুলেছিলাম একটি ফেসবুক গ্রুপ NSU Adventure Club নামের। যারা সেমিস্টার ব্রেকে ট্যুর দিতে চায় তাদের অনেকের মাঝেই একটি কমন সমস্যা দেখা দেয় টাইমিং নিয়ে। কারো ফ্রেন্ড সার্কেল হয়তোবা অন্য ভার্সিটিতে পড়ে তাই সময় মিলে না। আবার অনেক সময় একটি ট্যুরে দুই-তিন জন মানুষ কম গেলে খরচ অনেক বেড়ে যায়। অনেক সময় হতাশ হয়ে ট্যুরই ক্যান্সেল করে দিতে হয়। এই সমস্যা সমাধানেই এই গ্রুপটি খোলা। 

গুগল ম্যাপে নিঝুম দ্বীপ।


এটি ছিলো NSU Adventure Club থেকে করা পঞ্চম ট্যুর। এর আগে আমি আরো দুটি ট্যুরে গিয়েছি। একটি ট্যুরে আমরা ঘুরেছিলাম কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন। আরেকটি ট্যুরে আমরা গিয়েছিলাম বান্দরবানের গহীনে ট্রেকিং করতে। এবারের ট্যুরটি একটু অন্যরকম। এখানে পাহাড় নেই, সমুদ্রও নেই। তবে আসলে কি রয়েছে আমি নিজেও ভালো করে জানতাম না। ট্যুরের আগে মনে হয়েছিলো নিঝুপ দ্বীপে গিয়ে তেমন ভালো লাগবে না। আসলেই কেমন লেগেছে তা এই লেখাটি পড়লেই বুঝতে পারবেন।


এবারের ট্যুরে ক্যাম্পিং করার প্ল্যান রয়েছে। তাই দুপুরে খেয়েই টেন্ট, লাইফজ্যাকেট আর ব্যাগে কিছু শীতের কাপড় নিয়ে রওনা দিলাম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশ্যে। তাসরিফ-১ লঞ্চের কেবন বুক করাই ছিলো। লঞ্চ খুজে পেতে কোন সমস্যা হলো না। বেশ বড় আধুনিক একটি লঞ্চ। লঞ্চে উঠে পুরো লঞ্চটি চক্কর মেরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। আমরা কেবিন নিয়েছি তিন তলায়। তার উপরে ছাদ। আর নিচে ডেক। আস্তে আস্তে ১৪ জনের সবাই লঞ্চে আসতে শুরু করলো। লঞ্চ যাত্রা শুরু করলো সন্ধ্যা ৬টায়। আমরা সূর্যের আলো ডোবার আগে কিছু ছবি তুললাম। তারপর লঞ্চের ছাদে উঠে আড্ডা দিতে থাকলাম। 

আমাদের লঞ্চের হেডলাইট। ছবি তুলেছে রিশাদ।

বাসে জার্নি করলে শুধু পাশের জনের সাথে কথা বলা যায়। লঞ্চের মজা হলো এখানে সবার সাথেই আড্ডা দেওয়া যায়। সাথে ঘুরাঘুরি, নদীতে ঢেউয়ের খেলা দেখা আর খাওয়া-দাওয়াও করা যায়। লঞ্চে উঠার আগে চিকেল গ্রিল ও নান কিনে রাখা হয়েছিলো। সেগুলো খাওয়া হলো রাতে। প্রচন্ড শীতের সাথে ছিলো প্রবল বাতাস। গরম চা খেয়ে আর জ্যাকেট পড়ে শরীর গরম রাখতে হচ্ছে। রাতে লঞ্চ ৩-৪টি ঘাটে থামলো। সেখান থেকে কিছু যাত্রী উঠলো। আস্তে আস্তে ভোর হলো। পুরো রাত আড্ডা দিয়ে আর বাইরের প্রকৃতি দেখেই কাটিয়ে দিলাম আমরা।   

১ম দিন (২ জানুয়ারী ২০১৮)

সকাল ৮টায় লঞ্চ হাতিয়ার তমরুদ্দী ঘাটে পৌছায়। হাতিয়া নোয়াখালী জেলার একটি উপজেলা। এটিও একটি বিশাল দ্বীপ। এখান থেকেই আমাদের নিঝুম দ্বীপে যেতে হবে। লঞ্চ থেকে নেমে সবাই ঘাটের পাশে একটি হোটেলে নাস্তা করলাম রুটি, আলু ভাজি আর ডাল দিয়ে। এখান থেকে নিঝুম দ্বীপ দুইভাবে যাওয়া যায়। মোটরসাইকেলে করে হাতিয়ার মোক্তারিয়া বাজার। সেখান থেকে ট্রলার বা নৌকায় পানিপথ পার হয়ে পৌছানো যাবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা বাজারে। কিন্তু আমরা যেই রিসোর্টে থাকবো তা বন্দরটিলা থেকে আরো দূরে। তাই এত ঝামেলায় না গিয়ে সোজা নামারবাজার পর্যন্ত একটি ট্রলার ঠিক করা হলো। ট্রলার ঠিক করতে ও নাস্তা খেতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় চলে গেল।

ট্রলারে বেশ কিছু পথ যেয়ে আমরা নিঝুম দ্বীপের দেখা পেলাম। নিঝুম দ্বীপের নামারবাজারের ছোট্ট ঘাটে ট্রলার পৌছালো দুপুর ১টায়। সেখান থেকে ৬-৭ মিনিট হেটেই পৌছে গেলাম নিঝুমরিসোর্টে  (নিঝুম রিসোর্টের সবুজ ভাইয়ের নাম্বার ০১৮৬৬৯৮৯৮৫৮)রিসোর্টটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। সামনে মাঠের মত খোলা জায়গা আছে। এটি অবকাশ পর্যটনের একটি রিসোর্ট। এদের কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও আরো কিছু জায়গায় রিসোর্ট রয়েছে। রিসোর্টের পাশেই একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। এখান থেকে দ্বীপের একটা এরিয়াল ভিউ পাওয়া যায়। এছাড়া তার পাশেই বন বিভাগের কার্যালয়।

নিঝুম দ্বীপ বীচ। ছবিঃ সজীব।

দুপুরে নামারবাজারের একটি হোটেলে আমরা খাবার খেলাম। ভাত, আলুভর্তা, ইলিশ মাছ, বাটা মাছ ও ডাল ছিলো আজকের দুপুরের খাবারে। ডালের স্বাদটা খুব ভালো ছিলো। খাওয়াদাওয়া শেষ করে বিকালে আমরা নিঝুম দ্বীপের বীচে ঘুরতে বের হলাম। আজ দূরে কোথাও যাবো না। আশেপাশেই ঘুরে দেখবো। আমাদের সাথে জুটলো দুইজন পিচ্চি। একজনের নাম আরমান, আরেকজন লিটন। এরা দুইজন আমাদের বীচ ঘুরে দেখালো। নিঝুম দ্বীপের বীচ বেশ সুন্দর কিন্তু বালু কক্সবাজার বা সেন্টমার্টিনের বীচের মত নয়। এখানের বালু কিছুটা ভেজা ভেজা। তখন ভাটা ছিলো বলে অনেক কাদা ছিলো। তাই পানি ছোয়া গেল না। কাঁদার মাঝে হাটু পর্যন্ত পা ডুবিয়ে কিছুক্ষন মাছ ধরার ব্যর্থ চেষ্টা করলাম। 

কাদায় মাছ ধরছে আরমান ও লিটন। ছবি তুলেছে তাসনিম।

বীচে ঘুরাঘুরি করে রাতে আমরা রিসোর্টে ফিরে আসলাম। আমি আর রায়হান গেলাম খেজুরের রসের খোজে। গ্রামের ভেতর একজনের বাড়িতে গেলাম খেজুর রস সংগ্রহ করতে। প্রায় ৭-৮টি গাছ থেকে একটু একটু করে জমে থাকা রস একটি বড় তেলের বোতলে ঢালা হলো। কিছু গাছের রস ছিলো অসম্ভব মিষ্টি আর কয়েকটি ছিলো কম মিষ্টি। সবগুলো রস মিলে একটা মোটামুটি মিষ্টি রসের মিশ্রণ তৈরী হলো। এখানের গাছগুলোতে বেঁড়া দেওয়া ছিলো যাতে বাদুড় বা অন্য প্রানী রসে মুখ না দিতে পারে। বাদুড়ের মুখ দেওয়া খেজুর রস খেলে অনেক সময় নিপাহ ভাইরাস হতে পারে। ১৪ জনের জন্য ১৭ গ্লাস পরিমাণ খেজুর রস আর ঝোলা গুড় নিয়ে ফিরে এলাম রিসোর্টে। 

এভাবে গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় খেজুর রস। ছবি তুলেছে রিশাদ।

রাতেও নামারবাজারের হোটেলে ডিনার করলাম। এবার মেন্যুতে ছিলো ভাত, চিংড়ি ফ্রাই, হাসের মাংস ও ডাল। হাসের মাংসের টেস্ট দারুন ছিলো। ছোট একটি বাজার এই নামারবাজার। এর আশেপাশে নিঝুম রিসোর্ট, ভাই ভাই রিসোর্ট সহ আরো দুই-তিনটি মাঝারী মানের হোটেল রয়েছে। নামারবাজারে বিকাশ বা মোবাইল রিচার্জের দোকান, মিষ্টি, পান, মুদীর দোকান, খাবার হোটেল, ইলেক্ট্রিক দোকান সবই রয়েছে। এই দ্বীপে ইলেকট্রিসিটির কোন সমস্যা হয়নি। সব মিলিয়ে ভালোই উন্নত একটি দ্বীপ। শুনলাম এই নিঝুম দ্বীপে নাকি চল্লিশ হাজার মানুষ বসবাস করে।

রাতের খাবার খেয়ে রিসোর্টের আশেপাশে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে ঘুমিয়ে পড়লাম। বাকিরাও ঘুমিয়ে পড়লো। সবাই-ই সারাদিন জার্নি করে অনেক টায়ার্ড ছিলো।

২য় দিন (৩ জানুয়ারী ২০১৮)

রাতে জম্পেশ একটা ঘুম দিয়ে সবার ডাকাডাকিতে অনেক অনেক কষ্টে ভোর ৫.৩০ এ উঠলাম। এত সকালে উঠার কারণ হলো হরিণ দেখতে যাবো। নিঝুমদ্বীপে প্রচুর বুনো হরিণ বসবাস করে। তবে এদের দেখা পেতে খুব সকালে বনের ভেতর যেতে হবে। আমরা কনকনে শীতের সকালে কিছু না খেয়েই একটি নসিমনে ভ্যানে করে রওনা দিলাম চুয়াখালীর উদ্দেশ্যে। এখানেই বনের ভেতর হরিণের পাল দেখা যায়। হরিণ দেখানোর দায়িত্ব আরমান আর লিটনের। হরিণ দেখাতে না পারলে তাদের কপালে শনি আছে বলে দেওয়া হলো। তারা হাসিমুখেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলো।

১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগলো চুয়াখালী পৌছাতে। ওখানে ভ্যান থেকে নেমেই আমরা চলে গেলাম বনের ভেতর হেটে হেটে। গাছের শ্বাঁসমূলের ছড়াছড়ি মাটিতে। তীক্ষ তীক্ষ সব শ্বাঁসমূল পাশ কাটিয়ে যেতে হচ্ছে। একবার মাটিতে পড়ে গেলেই বারোটা বেজে যাবে। পা টিপে টিপে আমরা এগোতে থাকলাম যাতে শব্দ না হয়। শব্দ করলে হরিণ পালিয়ে যাবে। অনেকক্ষণ চুপিচুপি এগোনোর পর আমরা হরিণের একটি পাল দেখতে পেলাম। আরেকটু সামনে যেতেই তারা পালিয়ে গেলো। এভাবে বনের মাঝে চক্কর দিয়ে আমরা আরো দুইবার হরিণ দেখতে পেলাম। এক-দুইটি শেয়ালও দেখলাম দূর থেকে। 

আমাদের হরিণ। ছবি তুলেছে সজীব।

হরিণ দেখা শেষে বেশ কিছুক্ষন হেটে রাস্তায় এসে দেখি আমাদের ভ্যান নেই। পরে আমরা হেটে হেটেই নামারবাজার চলে আসি। পেটে প্রচুর ক্ষুধা। তাই হোটেলে যেয়ে গপাগপ খেতে শুরু করি নাস্তা। আজ নাস্তায় ছিলো রুটি, ডাল, সবজি ও ডিমভাজি। নাস্তা করে রুমে গিয়ে গোসল করে আমরা ট্রলার ঠিক করতে বেরিয়ে যাই। আজ আমরা ট্রলারে করে পুরো নিঝুম দ্বীপের আশেপাশে যত চর আছে সব ঘুরে বেড়াবো।

ট্রলার যাত্রা শুরু হয় দুপুর ১২টায়। আজ ট্রলারেই দুপুরে খাবার রান্না করা হবে। রান্নার জন্য চুলা, হাড়িপাতিল ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে নেওয়া হলো। ট্রলার চলা শুরু করলো। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। এত পানি দেখতে দেখতে এক সময় বোরিং লাগা শুরু করে। আমরা ট্রলারে বসে গোল হয়ে গানের কলি খেলতে শুরু করলাম। 

ছবির মত সুন্দর একটি চরের পাশ দিয়ে ট্রলার যাচ্ছিলো। আমরা ট্রলার ওখানে থামাতে বললাম। চরটির নাম কমলার চর। দেখে যেন মনে হয় কেউ সবুজ কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে নিচে। আর কিছু কিছু জায়গা পর পর গাছ রয়েছে। এইদিকে কোন মানুষ নেই, কোন শব্দ নেই। নীরব এক সবুজ অঞ্চল। এখানে আমরা কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করে ছবি তুলে আবার ট্রলারে উঠে গেলাম। এরপর আমরা দমার চরে গেলাম। পথে যেতে আরো কিছু নাম না জানা চর পড়লো। 

কমলার চরে। ছবি তুলেছে সজীব।

এখন খাওয়ার পালা। ট্রলারে আজ খিচুড়ি রান্না করা হলো। খিচুড়ি আর ডিম। স্বচ্ছ পানির উপর ট্রলারে দুলতে দুলতে এই খাবার যেন অমৃত মনে হচ্ছিলো। অমৃত অবশ্য কখনো খাইনি। তুলনা করাটা ঠিক হলো কিনা বুঝলাম না। খিচুরী খেয়ে গান গেয়ে আড্ডা দিতে দিতে আমরা পৌছালাম কবিরাজের চরে। এখানে মহিষের পাল দেখলাম। এই চরের গাছগুলো খুবই কাটাযুক্ত। অনেক সাবধানে হাটতে হয়। এরপর আমরা চৌধুরীখালে গেলাম। সেখানের চরে ফুটবল আর মাংস চোর খেললাম। খেলতে খেলতেই সন্ধ্যা হয়ে গেলো। এবার চৌধুরীখাল ধরেই নামারবাজারের ঘাটে ফিরে এলাম।

খিচুড়ি। ছবিঃ সজীব

--
কবিরাজের চরে। ছবিঃ সজীব
--
ফুটবল খেলা হচ্ছে। ছবি তুলেছে তাসনিম।


আজ সারাদিন মারাত্নক মজা হয়েছে। কিন্তু কেন যেন একদমই টায়ার্ড লাগছে না। ঘোষনা করা হলো আজ রাতে বার-বি-কিউ হবে। রিসোর্টের পাশের খোলা জায়গায় বার-বি-কিউ করা শুরু হলো। এর এক ফাঁকে আমরা কয়জন বাজারে গিয়ে খুব মজার একটি মিষ্টি খেয়ে আসলাম। নামারবাজারে ভাই ভাই খাবার হোটেলের বামপাশের হোটেলে এই মিষ্টি পাওয়া যায়। মিষ্টি আর চা খেয়ে এসে দেখি বার-বি-কিউ প্রায় হয়ে গেছে। আমি ঘরে যেয়ে জলদি মার্শম্যালোর প্যাকেট খুলে একটি তারে লাগিয়ে সেগুলো রোস্ট করতে থাকি। বার-বি-কিউ চিকেন, নান আর মার্শম্যালোর সাথে অসাধারণ একটি ডিনার হলো। 

তীব্র চাঁদের আলো। ছবিঃ পুষ্পা
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা হাটতে হাটতে চলে গেলাম বীচে। বীচে যেয়ে বুঝলাম আজ পূর্নিমা। চাঁদের আলোয় সবকিছু তছনছ হয়ে যাচ্ছে। বীচে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে ঠান্ডা বাতাসে আর টিকতে পারলাম না। এবার ফেরার পালা। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়লো একটি বাড়ির পাশে খেজুর গাছে রস জমা হচ্ছে। সেই রস চুরি করে খাওয়া শুরু করলো কয়েকজন। রসের বোতল ফেলে দেওয়ায় কিছু শব্দ হলো আর বাড়ি থেকে একজন লোক বের হয়ে এলো। কয়েকজন হাড়ি রেখেই দিলো দৌড়। পরে অবশ্য মালিককে রসের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আর ঝামেলা না পাঁকিয়ে হোটেলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। আজ একদিনে অনেককিছু হয়েছে।

পর্ব - ২ পড়ুন এখানে

0 comments:

Post a Comment

Hi ! I'm Raad. And this my personal blog. Welcome to my blog.