Sunday, February 2, 2020

কলকাতা ভ্রমণ - ৩য় ও শেষ পর্ব


৫ম দিন

অনেক শপিং করা হয়েছে আর নাহ। আমার বন্ধুদের শপিং এখনো বাকি তারা মার্কেটে যাবে আজকেও। আমার আর কিছু কেনার নেই। তাই ঠিক করলাম আজ একা একাই কলকাতা শহর ঘুরে বেড়াবো। একা একা ঘুরাঘুরির মধ্যে এক ধরণের আনন্দ আছে। যখন যেদিকে ইচ্ছে যাওয়া যায়, কারো জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। 

কলকাতা ভ্রমণ - পর্ব দুই


৩য় দিন 

আজ ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরী হয়ে গেলো। উঠে দেখি দুপুর বারোটা বেজে গিয়েছে। কলকাতায় আসার আগে বাসা থেকে ও কিছু বন্ধুবান্ধব শপিং লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে। এই শপিংগুলো শেষ না হলে আসলে ঝামেলা মিটছে না। ট্যুরের বাজেটের সাথে শপিংয়ের টাকার হিসেব মিলে গোলমাল লাগছে। তাই ঠিক করেছি আজ আমি সব শপিং সেরে ফেলবো।

কলকাতা ভ্রমণ - পর্ব এক

এত বড় হয়ে গেলাম অথচ দেশের বাইরে কখনও যাওয়া হয়নি। গতবছর অনেক ঝক্কি ঝামেলা পার করে পাসপোর্ট করালাম। তখনও জানিনা কোথাও যাবো কিনা। বছরের শেষের দিকে তিন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম ইন্ডিয়া যাবো। প্ল্যান হলো কলকাতায় যাওয়ার। কলকাতা শহরটি ভালো করে দেখে বেড়াবো কয়েকদিন। ভিসা পেতে তেমন সমস্যা হলো না। অফিস থেকে ছুটিও ম্যানেজ করা হলো। 


যাত্রা শুরু

প্ল্যানমাফিক ১৭ জানুয়ারীর শুক্রবারে শীতের রাতে রওনা দিলাম। আমাদের বাস ছিলো রাত ১১টায়। ১১টায় কলাবাগান বাস কাউন্টার থেকে সোহাগের নন-এসি বাস ছাড়লো। আমরা ভয় পাচ্ছিলাম কুয়াশার জন্য ফেরী পারাপারে দেরী হবে কিনা। এমনও শুনেছি যে রাতে ফেরীর জন্য দাড়িয়ে কুয়াশার জন্য ভোর হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে আমাদের ভাগ্য ভালো ছিলো ঐদিন রাতে কোন কুয়াশা ছিলো না। ফেরী পার হয়ে তারপর অনেক দ্রুতই আমরা বেনাপোল বর্ডারে পৌঁছে গেলাম। ভোর ৫টায় তখনও অন্ধকার। বর্ডার খুলেনি। চা ও পাউরুটি দিয়ে নাস্তা সেরে ফেলি।

Hi ! I'm Raad. And this my personal blog. Welcome to my blog.