আমার কি সিএসই পড়া ঠিক হবে - কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগে যা জানা উচিত
তোমরা হয়তো কলেজের গণ্ডি পার হয়ে যাচ্ছো। অনেকেই এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছো অথবা পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়ে গেছে। তোমাদের জন্যই আজ এই ব্লগপোস্টটি লেখা। এসময়ে অনেকেই তাদের স্টাডি লাইফ নিয়ে সাজেশন চায়। কে কোন বিষয়ে পড়বে, কোথায় পড়বে- এসব নিয়ে খুব চিন্তায় থাকে। আমার এই পোস্টটি মূলত যারা মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছো কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়বে তাদের জন্য। যারা পড়া শুরু করে দিয়েছো তারাও দেখে নিতে পারো।
এখন বাংলাদেশের সাবজেক্টগুলোর মধ্যে একটি হট সাবজেক্ট হলো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং। আগে সবাই হুড়মুড় করে বিবিএ পড়তো। এখন সবাই দল বেধে ঢুকে যায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে। তবে কোন চিন্তাভাবনা না করেই ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে এই সাবজেক্টটি পড়তে গেলে ভয়ানক সমস্যায় পড়ে যেতে পারো। আগে বুঝতে হবে তোমার জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াটা ঠিক হবে কিনা। নাহলে সামনে প্রচুর বিপদ। কোন ধারণা না নিয়েই সিএসই পরতে গেলে হয়তো তোমার পাশ করতে চার বছরের জায়গায় আট বছরও লেগে যেতে পারে। হয়তো তুমি পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিতে পারো। আগে বিষয়টার ধারণা পরিষ্কার করতে হবে। তারপর কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসইতে ভর্তি হবে।
সিএসই
পড়ার আগে এরকম কয়েকটা বিষয় জানা প্রয়োজন। সেগুলোই সংক্ষেপে বলছি আমি। এখানে আমি
কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভালো বা খারাপ সিএসই এর জন্য এসব কিছুই বলবো না। সেটা তুমি নিজে
ঠিক করে নিবে। এখানে আমি তোমাকে একটা ধারণা দিবো যে সিএসই পড়তে চাইলে তোমার আসলে
কি কি জানা উচিত, যা থেকে তুমি বুঝতে পারবে যে সিএসই পড়াটা তোমার জন্য ঠিক হবে
কিনা। লেখাটা খানিকটা বড়। আশা করি ধৈর্য্য ধরে সবটুকু পড়বে।
ভালোবাসতে হবে প্রযুক্তিকে
তুমি সিএসই পড়লে তোমাকে
নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে। সুতরাং প্রযুক্তির প্রতি তোমার ভালোবাসা
জন্মাতে হবে। এর মানে এই নয় যে তোমার হাই-পার্ফোরমেন্স পিসি লাগবে, স্মার্টফোন
লাগবে, ম্যাকবুক লাগবে। তোমাকে প্রযুক্তির নতুন নতুন আপডেটগুলো জানতে হবে।
পত্রিকার প্রযুক্তির পাতাটি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতে হবে। ইন্টারনেটে ফেসবুকিং ও গেইম
খেলার পাশাপাশি প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল পড়তে হবে। ইন্টেল কখন নতুন প্রসেসর বের
করলো, কোন কোম্পানীর স্মার্টফোন এই বাজেটে ভালো হবে, অ্যাপলের নতুন অপারেটিং
সিস্টেমের নাম কি – এইসব টুকিটাকি ব্যাপারগুলো নিয়ে আপডেটেড থাকতে হবে।
মনে রাখবে এখনকার যুগে যার কাছে
যত বেশি ইনফোরমেশন আছে সে তত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে। এভাবেই তোমার প্রযুক্তির
প্রতি একটা ভালো লাগা তৈরী হবে। সিএসই নিয়ে ৪-৫ বছর পড়ার সময় এই প্রযুক্তি নিয়েই
থাকতে হবে। তাই একে ভালোবাসা ছাড়া গতি নাই। প্রযুক্তিকে বিরক্ত লাগলে তোমাকেও
বিরক্ত লাগবে কম্পিউটার সায়েন্সের।
সিজিপিএ সব নয়, তবে অনেককিছু
আমি জানি অনেকেই শুনেছো সিএসই
পড়লে শুধু স্কিল থাকলেই চলে, সিজিপিএ দরকার নাই। এবং আমি এও জানি এ কথাটা সত্য
বটে। তুমি ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে অনেক বড় ভাই-আপুকেই বলতে শুনবা যে সিজিপিএ দিয়ে
কিচ্ছু হবে না।
হ্যা, সিএসই এমন একটা বিষয় যেটা
শুধু একাডেমিক পড়াশোনার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তোমার যদি সিজিপিএ কম থাকে কিন্তু
স্কিল বেশি থাকে তবে তুমি সহজেই চাকরী পাবা। বিদেশের কোম্পানীগুলো তো বটেই,
বাংলাদেশের অনেক সফটওয়্যার কোম্পানীই এখন সিএসই গ্রাজুয়েটদের সিজিপিএকে তেমন একটা
পাত্তা দেয়না। পাত্তা না দেওয়ার যথেষ্ট কারন রয়েছে। অনেকেই দেখা যায় ভালো সিজিপিএ
এর অধিকারী কিন্তু এমন কোন কাজ জানেনা যেটা তাদের কোম্পানীতে কাজে লাগে।
স্বাভাবিকভাবেই একটা কোম্পানী চাইবে কাজ জানা লোক নিতে। এতে তাদের কোম্পানীরই লাভ
হবে। তাই শুধু কম সিজিপিএ কেন, টেক কোম্পানীতে এমন অনেক লোকই দেখবে যাদের
কম্পিউটার সায়েন্স বা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীই নেই। কিন্তু তাদের রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে স্কিল। অনেক বছরের পরিশ্রমে নিজ চেষ্টায় তারা এ পর্যায়ে পৌছাতে পেরেছে।
এখন স্কিলওয়ালা মানুষ, মার্ক
জাকারবার্গ, বিল গেটস এদের উদাহরণ একটু সাইডে রেখে তোমার উদাহরনে এসো। তুমি
এইচএসসি পাশ করেছো। এখন তুমি ৪ বা ৫ বছরের জন্য সিএসই পড়বে। সিএসই পড়ো আর যাই পড়ো
না কেন তোমাকে পাশ করে বের হতে হবে। বেশিরভাগ ভার্সিটিতে পাশ করতে হলেও মিনিমাম
সিজিপিএ ২.৫ লাগে। তুমি না চাইলেও এই সিজিপিএ তোমাকে তুলতেই হবে।
এবার আসো চাকরীর ইন্টারভিউ
বোর্ডে। তোমরা তিন বন্ধু মিলে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছো একটি সফটওয়্যার কোম্পানীতে।
তোমার সিজিপিএ ২.৫। তোমার বন্ধু মিলনের সিজিপিএ ৩.৮। মিলন সারা ভার্সিটি লাইফ শুধু
পড়াশোনা করেই কাটিয়েছে। পড়াশোনার বাইরে সে তেমন কিছুই জানেনা। আবার রাতুলের
সিজিপিএ ৩। সে মোটামুটি পড়াশোনা করেছে আবার পড়াশোনার পাশাপাশি কিছুদিন একটা
কোম্পানীতে পার্ট টাইম জব করেছে, তার কিছু ভালো ভালো প্রজেক্ট করা রয়েছে।
ইন্টারভিউতে প্রথমেই বাদ দেওয়া
হবে মিলনকে। কেননা মিলনকে দিয়ে কোম্পানীর কোন কাজ নেই। খুব সম্ভবত তাকে একটা কাজ
ধরিয়ে দিলে সে নিজে নিজেও শিখে নিতে পারবেনা। তার জ্ঞান ঐ ভার্সিটির চার দেয়ালের
ক্লাসরুম আর টিচারদের রুম পর্যন্তই। আর কোন কোম্পানীই চায় না একজনের পেছনে
সারাক্ষন শিক্ষকের মত লেগে থাকতে।
তোমার সিজিপিএ তেমন ভালোনা। আবার তোমার পূর্বের রেকর্ড বলছে তুমি ভালো
কোন প্রজেক্ট করোনি, কোন চাকুরীর পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই- সব মিলিয়ে তেমন কোন স্কিলও নেই। সুতরাং তুমিও বাদ পরে যাবে হয়তো।
তোমার সিজিপিএ তেমন ভালোনা। আবার তোমার পূর্বের রেকর্ড বলছে তুমি ভালো
কোন প্রজেক্ট করোনি, কোন চাকুরীর পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই- সব মিলিয়ে তেমন কোন স্কিলও নেই। সুতরাং তুমিও বাদ পরে যাবে হয়তো।
বাকি থাকে রাতুল। রাতুলের
সিজিপিএ হয়তো মিলনের মত এত ভালোনা। সে অনেক কষ্টে টেনেটুনে অন্তত সিজিপিএ ৩
তুলেছে। কিন্তু তার পূর্বের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে কাজ জানে অলরেডি। তাকে নিয়ে
কোম্পানীর লাভ আছে। রাতুলকে একটু আধটু কাজ বুঝিয়ে দিলেই সে বাকিটা করে ফেলতে
পারবে। আর ৪-৫ বছর সে ভার্সিটিতে পড়েছে। সিজিপিএ মোটামুটি ভালোই। এ থেকে তারা বুঝে
নিবে যে রাতুল পোলাটা আর যাই হোক ফাঁকিবাজ নয়। এত স্কিল ডেভেলপ করার পরও সে
ভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে সুতরাং কোম্পানীর প্রজেক্টের কাজ সে যত ঝামেলাই থাকুক
ঠিক সময়ে শেষ করতে পারবে। নিতান্ত বেকুব না হয়ে থাকলে রাতুলকে তারা চাকরী অবশ্যই
দিবে।
উপরের উদাহরণ থেকে আশা করি
বুঝতে পেরেছো সিজিপিএ কতটা প্রয়োজন আর কতটা অপ্রয়োজনীয়। আরেকটি কথা হলো তোমার
টার্গেট যদি থাকে দেশের বাইরে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ালেখা করার তাহলে তোমাকে সিজিপিএ
অবশ্যই ভালো রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে তোমার স্কিল কম থাকলেও চলবে। তবে সিজিপিএ মাস্ট
ভালো লাগবে। এছাড়াও ভালো কিছু রিসার্চ পেপার ও প্রোজেক্ট পাবলিশ করলে ভালো হবে
ভার্সিটি লাইফেই।
গণিত যে পিছু ছাড়বেই না
ম্যাথে খুব দূর্বল হয়ে থাকলে
সিএসই পড়ার প্রথমেই তুমি একটা বড়সড় ধাক্কা খাবে। এটা অনেকেই বলে না। কিন্তু আমি
বলছি গণিত তোমার পিছু ছাড়বেই না।
প্রতিটা ইউনিভার্সিটিতে সিএসই
এর কোর কোর্সের পাশাপাশি ম্যাথের কিছু কোর্স থাকে। এগুলোতে ভালো মার্ক পেতে হলে
তোমার ম্যাথের ব্যাসিক মোটামুটি ভালো থাকতে হবে। এছাড়াও সিএসই এর সাবজেক্টগুলোতেও
ম্যাথ লাগে। তবে সেটা আহামরি কোন ম্যাথ না। তোমার ম্যাথের বেসিক ভালো থাকলেই তুমি
সেগুলো পারবে।
তুমি যদি ম্যাথে খুব দূর্বল হয়ে
থাকো তাহলে আজই খান একাডেমী থেকে অনলাইনে ক্লাস নাইন-টেনের ম্যাথগুলো করা শুরু করে দাও। সেগুলো শেষ
হলে এইচএসসির কিছু ইম্পরট্যান্ট ম্যাথ আবার করো। আর অনলাইনে কুইজ দিয়ে নিজেকে যাচাই
করো। ভার্সিটি লাইফে তোমার ইন্টিগ্রেশন-ডিফারেন্সিয়েশন খুব লাগবে। এগুলোর একদম
ব্যাসিক তুমি ভালো করে এখনই শেখা শুরু করে দাও।
শুধু আচ্ছা আচ্ছা করে গেলেই হবে
না। আজই শেখা শুরু করে দাও। ভার্সিটির ক্লাস শুরু হলে এই ব্যাসিক শেখার কোন সময়
পাবেনা। আর টিচারেরাও একদম ব্যাসিক ম্যাথ হাতে ধরে শেখাবে না। ম্যাথ ও লজিকের
ব্যাসিক ভালো করার জন্য তোমার মোবাইলে গুগল প্লেস্টোর অথবা অ্যাপলের অ্যাপস্টোর থেকে কিছু ম্যাথ গেমস ডাউনলোড দিয়ে খেলা শুরু করো। এটা চটপট অংক করতে
খুব কাজে দিবে।
যেদিকেই যাও না কেন প্রোগ্রামিং
লাগবেই
আমাদের সবার একটা ভুল কনসেপ্ট
হলো – আমরা মনে করি সিএসই পড়ে সবাই প্রোগ্রামার হয়। সিএসই একটা বিশাল পড়াশোনার
ক্ষেত্র। তোমার ভার্সিটি লাইফে এই সিএসই পড়ে যা কিছু নিয়ে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব তার
সব কিছুরই এক চিমটি করে ব্যাসিক শিখিয়ে দেওয়া হবে। সিএসই পড়ে কেউ প্রোগ্রামার হয়,
কেউ ডেভেলপার হয়, কেউ সফটওয়্যার টেস্টার হয়, কেউ ডাটা সায়েন্টিস্ট, কেউ বা আবার
হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়। আবার ডেভেলপার হয় অনেক রকমের – গেইম ডেভেলপার,
ওয়েবসাইট ডেভেলপার, অ্যাপস ডেভেলপার ইত্যাদী। তুমি অনেক দিকেই যেতে পারো ক্যারিয়ার
গড়ার জন্য।
তবে এই প্রোগ্রামিং জিনিসটা
তুমি যেদিকেই যাও না কেন লাগবেই। তোমার ভার্সিটির প্রথম সিএসই কোর্স পাশ করতে
প্রোগ্রামিং শেখা লাগবে। এই প্রোগ্রামিং আবার অন্যান্য কোর্সের সাথে লিংক করা।
সেসব কোর্সে তোমাকে আর প্রোগ্রামিং এর ব্যাসিক শেখানো হবে না। তোমাকে সেই কোর্সে
যা পড়ানো হবে সেটা প্রোগ্রামিং থেকে একদম বাইরের একটা বিষয়। কিন্তু কোর্স শেষে যে
প্রজেক্ট দেওয়া হবে দেখবে সেখানে দেখবে প্রোগ্রামিং করা লাগছে। তাই শুরুতেই
প্রোগ্রামিংয়ে ভালো হলে তোমার জন্য এই পথটা পাড়ি দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।
প্রোগ্রামিং শিখতে চাইলে যেকোন
একটি প্রোগ্রামিং ভাষা নিয়ে শেখা শুরু করে দাও। নিচে কিছু লিংক দেওয়া হলোঃ
সি প্রোগ্রামিং শিখতে চাইলে তামিম শাহরিয়ার সুবিনের
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বইটি দেখতে পারো। রকমারি ডটকম থেকে এর হার্ডকপিও
কিনে নিতে পারো।
- খুব মজা করে লেখা প্রোগ্রামিং শেখার একটি বই ঝংকার মাহবুবের
হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং
প্রোগ্রামিং ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে শিখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটগুলো ফলো করতে
পারোঃ
এগুলো
ওয়েবসাইটে ভালো কিছু প্রোগ্রামিং কোর্স রয়েছে। এগুলোতে ফ্রিতে ভর্তি হয়ে শিখতে
পারো। এর সাথে কুইজ দিয়ে ও বিভিন্ন প্রজেক্ট বানিয়ে নিজে নিজেই শিখতে পারবে
প্রোগ্রামিং এখান থেকে। প্রোগ্রামিং শেখার রিসোর্সের উদাহরণ দিলে আসলে একটা বই-ই
লেখা হয়ে যাবে। এতকিছু চিন্তা না করে যেকোন একটা প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা শুরু করে
দাও। এক্ষেত্রে আমার সাজেশন হলো পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখা। তবে বেশিরভাগ
ভার্সিটিতেই সি প্রোগ্রামিং দিয়ে শেখানো শুরু করে। সি প্রোগ্রামিংও শিখতে পারো।
এতে তোমার ভার্সিটির কোর্সের পড়াও হয়ে যাবে।
যেই
প্রোগ্রামিং ভাষাই শিখো না কেন সবসময় বোঝার চেষ্টা করবে যে একটি প্রোগ্রাম কিভাবে
কাজ করছে। আর প্রোগ্রামিং ভাষা একটি ভালোভাবে শিখলেই বাকিগুলো শেখাও সহজ হয়ে যাবে।
ক্যারিয়ার
শুরু হোক এখনই
গ্রাজুয়েশনের
জন্য অপেক্ষা না করে ক্যারিয়ার শুরু করার চেষ্টা করো এখন থেকেই। স্টুডেন্ট লাইফে
অনেকেই টিউশনি করে হাতখরচ জোগাড় করে। তবে টিউশনি থেকে ভালো হয় যদি কোন পার্ট-টাইম
জব করতে পারো। এতে সুবিধা হলো তুমি তোমার সিভিতে সেটা যোগ করতে পারবে। এছাড়াও তোমার
ক্যারিয়ারের একটা অভিজ্ঞতা হবে যা পরে খুব কাজে দিবে।
টিউশনি বলো আর
পার্ট-টাইম জবই বলো তা পাওয়া বেশ কঠিন। তুমি ফ্রিল্যান্সিং করেও আয় করতে পারো। তবে
এক্ষেত্রে তোমাকে আগে কাজ জানতে হবে। নিজের স্কিল ডেভেলপ করে ফ্রিল্যান্সিং করা
খুবই ভালো। তবে খেয়াল রাখবে ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে যেন তোমার পড়াশোনার উপর থেকেই
মন উঠে না যায়।
ওয়েবসাইট
ডেভেলপ করাই সিএসই নয়
অনেকেই মনে
করে একটা ওয়েবসাইট বানানো বা একটা গেইম বানানোই হয়তো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং। এটা
একদমই ভূল। সিএসই পড়ার আগে নিজের ইগো ঝরিয়ে ফেলো। একটা ওয়েবসাইট বানিয়েই অনেককিছু
জেনে গেছো এমনটা ভাবলেই ধরা খেয়ে যাবে।
সিএসই পড়ার সময় তোমার ফেব্রুয়ারী মাসে মনে হবে একটা ভ্যালেন্টাইনস ডে স্পেশাল
অ্যাপ বানাই। মার্চ মাসে ইচ্ছে হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটা ওয়েবসাইট
বানাই। এপ্রিলে মনে হবে মানুষকে বোকা বানানোর একটা গেইম বানালে কিন্তু মন্দ হয়না।
যাই মনে হবে, সেটা মনে না রেখে সেটা বানানোর জন্য কাজ শুরু করে দাও। হয়তো তুমি
কিছুই জানো না, কিন্তু এই ছোট প্রজেক্টগুলো করতে করতেই অনেক স্কিল শিখে যাবে। এর
মধ্যে অনেক প্রজেক্ট লস যাবে, যেগুলো কোন কাজেই আসবে না। আবার অনেক ছোট প্রজেক্ট
হয়তো বড় হয়ে একটা স্টার্টআপও হয়ে যেতে পারে।
ক্লাসের
বাইরেই আসল শিক্ষা
শুধু ক্লাসের
পড়া পড়ে ভালো মার্কস পেলে সিজিপিএ ভালো হবে, বাসার সবাই বাহবা দিবে তবে তুমি মনে
শান্তি পাবে না। সিএসই সাবজেক্টটাই এমন। একাডেমিক পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু করা
প্রয়োজন।
প্রোগ্রামিং
কনটেস্ট করতে পারো। এতে তোমার প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা বাড়বে। দেশে প্রায় সব
ভার্সিটিতেই এখন প্রোগ্রামিং কনটেস্ট হয়। ভার্সিটিতে না হলেও অনলাইনেই করা যায়।
বিভিন্ন
ভার্সিটির টেক ফেস্টে প্রজেক্ট শোকেস করে। সেখানে প্রজেক্ট দিতে পারো।
অ্যাপ
কনটেস্ট, আইডিয়া কনটেস্ট, হ্যাকাথন এসব কনটেস্টে যোগ দিয়ে নিজের যোগ্যতা বাড়াতে
পারো। এগুলো কনটেস্টে শুধুমাত্র পার্টিসিপেট করেই তুমি অনেককিছু শিখতে পারবে, অনেক
টেকি মানুষদের সাথে মিশতে পারবে। এরা তোমাকে প্রচুর সাহায্য করবে পরে।
দেশে গুগল,
মজিলা, মাইক্রোসফটসহ অন্যান্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু ভালো ভালো ফ্রি
ওয়ার্কশপ ও সেমিনার হয়। এগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করবে। কোন একটি টেক কমিউনিটিতে যোগ
দিবে। এতে করে বেশ কিছু টেকি মানুষদের সাথে পরিচয় হবে তোমার। “২০ দিনে
ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার কামান” টাইপের
অলিতেগলিতে গড়ে উঠা আইটি কোম্পানীর সেমিনারে ভুলেও যাবে না। এগুলো ভাইরাস !
ইংলিশ বুঝতে হইবে রে মুমিন
ভার্সিটিতে ওঠার আগে ইংলিশ মিডিয়াম ও ইংলিশ ভার্সনের স্টুডেন্টরা বাদে সবাই বাংলায় সব পড়াশোনা করে থাকে। সায়েন্সের সব বইগুলো থাকে বাংলায় লেখা। কিন্তু ভার্সিটিতে উঠে বাংলায় তুমি কোন লেখা খুজে পাবে না। বেশিরভাগ ভার্সিটির শিক্ষকরাই ইংলিশে লেকচার দেয়। তোমাকে অন্তত এই লেকচারগুলো বোঝার মত ইংলিশ জানতেই হবে। তোমার ইংলিশে গড়্গড় করে কথা বলার দরকার নেই। ইংলিশে কমিউনিকেট করতে পারাটা তুমি ভার্সিটিতে দুই বছর কাটালে এমনিতেই শিখে যাবে। কিন্তু অন্তত টিচারের লেকচার বোঝার মত ইংলিশ জানতে হবে।
এটা খুব একটা কঠিন কিছু না। এর জন্য তোমাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল বা সাইফুরসের ইংলিশ কোর্সে ভর্তি হতে হবে না। আশেপাশে থেকেই ফ্রিতে তুমি ইংলিশ শিখতে পারো। ইংলিশ মুভি অথবা সিরিজ দেখো, ইংলিশে লেখা কিছু গল্পের বই পড়ো। তোমার মোবাইলের অ্যাপ স্টোর থেকে ইংলিশ শেখার কোন অ্যাপ ডাউনলোড করেও শিখতে পারো। স্পোকেন ইংলিশ ভালো করতে চাইলে তুমি একজন ফরেনার বন্ধু জোগাড় করতে পারো যার সাথে ইংলিশে কথা বলতে পারবা। বাঙালীদের সাথে আসলে ইংলিশে কথা বলে মজা পাওয়া যায়না আর খুব অস্বস্তি লাগে। তাদের সাথে ভুলভাল ইংলিশে কথা বললে তারা ভুল বেশি ধরে আর এতে তোমারও লজ্জা লাগবে বেশি। বিদেশী বন্ধু না পেলে তুমি অনলাইনে বিভিন্ন ভয়েস চ্যাটরুমে অন্যদের সাথে ইংলিশে কথা বলা প্র্যাকটিস করতে পারো। চ্যাটরুলেট নামের এই সাইটে তুমি অচেনা মানুষদের সাথে কথা বলা প্র্যাকটিস করতে পারো।
ফলো করো,
শো-অফ করো
বিভিন্ন টেকি
মানুষদের ফলো করো ফেসবুকে। টেকি মানুষ বলতে বড় বড় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে চাকরী
করে, নিজের স্টার্টআপ রয়েছে, কোন টেক কমিউনিটির সাথে জড়িত, প্রোগ্রামার, ডেভেলপার,
সিএসই এর শিক্ষক – এদের ফলো করো। এরা ফেসবুক, টুইটার বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে
কি করে, কি পোস্ট করে সেগুলো দেখো। অনেক ব্যাপার নিয়ে তুমি ধারণা পাবে যা তোমার
সিএসই পড়া ও ক্যারিয়ারে সাহায্য করবে। এদের ব্লগপোস্ট ও টিউটোরিয়ালগুলো পড়ো। অনেকে
ইউটিউবে ভিডিও দেয়, সেগুলোও দেখো। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং গ্রুপ, ডেভেলপারদের গ্রুপ ও
অন্যান্য টেকি গ্রুপে যোগ দাও।
কোন ভালো কাজ
করে শো-অফ করাই যায়। এতে অন্যরাও উতসাহ পায়। তুমি নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে
চাচ্ছো অথচ কাউকে পাচ্ছো না? শেয়ার করো তোমার ফেসবুক ওয়ালে। নতুন কোন প্রজেক্ট
করেছো? একটা ছোট্ট গেইম বানিয়েছো কিংবা একটা অ্যাপ বানিয়েছো? শেয়ার করো তোমার
বন্ধুদের সাথে। দেখবে অনেকেই বলবে এটা ভালো হয়নাই, এমন হলে আরো ভালো হত। খানিকটা
হতাশ হবে তুমি। কিন্তু এটা এক দিক দিয়ে কিন্তু ভালোই। তুমি নিজের কাজ আরো ভালো
করার সুযোগ পাবে।
নিজের কাজের শো-অফ করলে বড়দের থেকে আরো ভালো আইডিয়া বা বড় কোন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ
করার সুযোগ পেতে পারো। এখানে বড় বলতে স্কিলে বড় বোঝানো হয়েছে, বয়সে নয়। সিএসই পড়ার
আগে মনে রাখবে যে তোমার থেকে বয়সে অনেক ছোট কেউ তোমার থেকেও অনেক বেশি স্কিলড হতে
পারে। মানুষকে বয়সের মাপ দিয়ে হিসেব করাটা ঠিক না। সিএসই পড়লে দেখতে পাবে তোমার
চেয়ে বয়সে বড় ভাইকে তুমি কোন টপিক বুঝিয়ে দিচ্ছো অথবা তোমার চেয়ে বয়সে ছোট কেউ
তোমাকে কোন কিছু বুঝিয়ে দিচ্ছে। বয়স নিয়ে সংকোচ করলে কিছু শিখতে পারবে না।
যেভাবে বুঝবে
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং আসলে তোমার জন্য না
১. তুমি এই ব্লগপোস্টটির পুরোটুকু পড়োনি। শুধুমাত্র উপরের বড় বড়
পয়েন্টগুলোতে চোখ বুলিয়েই এখানে এসেছো। এমনটা হলে জেনে রাখো সিএসই তোমার জন্য নয়।
তোমার ধৈর্য্যের বড়ই অভাব। আর সিএসই পড়তে এই দুই হাজার ওয়ার্ডের পোস্ট পড়ার থেকে
অনেক অনেক বেশি ধৈর্য্য লাগে। ধৈর্য্য কিভাবে বাড়াবে সেটা আমি বলতে পারবো না।
২. তুমি খুবই ফুর্তিবাজ লোক। সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দাও,
ঘোরাফেরা করো, জুয়া খেলো, মদ-গাজা খাও রেগুলার, বাসায় থাকো বলতে গেলে শুধুমাত্র
রাতে ঘুমানোর টাইমে। তাহলে জেনে রাখো সিএসই তোমার জন্য নয়। সিএসই পড়তে হলে দেখা
যাবে দুইদিন তুমি ঘর থেকেই বের হতে পারোনি। সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা
লাগছে। তোমার মন যদি এত অস্থির হয় তবে সিএসই না পড়াই ভালো।
৩. তুমি যদি মনে করো সিএসই পড়তে হলে হাই-ফাই পিসি লাগে লাখ টাকা
দামের কম্পিউটার লাগে, স্মার্টফোন লাগে তাহলে তোমার সিএসই পড়ার দরকার নেই। সিএসই
পড়তে এতকিছু লাগে না। মোটামুটি মানের একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন হলেই
চলে।
৪. তুমি যদি প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়ে থাকো। কাগজ
কেটে পরীক্ষার হলে নকল করে আর পাশের জনের খাতা কপি করে নাম্বার তোলাই যদি তোমার
স্বভাব হয় তবে সিএসই পড়ার দরকার নাই। সিএসই পড়লে তোমার কষ্টের আর হা-হুতাশের সীমা
থাকবে না।
৫. তোমার যদি এমন কোন সমস্যা থাকে যাতে করে কম্পিউটার বা
ল্যাপটপের পর্দার সামনে অল্প কিছুক্ষন থাকলেই চোখা ব্যথা করে, অস্বস্তি লাগে অথবা
মাথা ঘুরায়। এধরনের মেডিক্যাল সমস্যা কারো কারো থাকে। এমনটা হলে সিএসই পড়াটা ঠিক
হবে না। কেননা তোমাকে দিনের মাঝে অনেক সময়ই ল্যাপটপ বা পিসির পর্দার সামনে কাটাতে
হবে।
এই ছিলো সিএসই নিয়ে আমার কিছু
বকবক পোস্ট। আমি কিন্তু নিজে মোটেই পড়ুয়া ছাত্র না, ভালো স্কিল আছে এমনটাও না।
সিএসই পড়ার আগে আমি এরকম কোন উপদেশ পাইনি কারো কাছ থেকে। আমি ঠেকেছি আর শিখেছি।
এখনও শিখছি। তাই যারা ভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তে চাইছে তাদের জন্য আমার
এই পোস্টটি লেখা।
ভার্সিটিতে ভর্তিচ্ছুদের জন্য
লেখা হলেও বড় অনেকেই এটা পড়বেন আমি জানি। পোস্টে কোন ভূল থাকলে কমেন্টে জানাবেন।
সিএসই পড়ুয়া ভাই-আপুরা কমেন্ট করে আপনাদের কোন উপদেশ থাকলে জানাবেন ছোটদের প্রতি।
Good post...
ReplyDeleteThanks
I wish I had this guideline before!!Got into this subject without knowing anything about it.I never ever imagined of studying CSE. So i actually didn't have any plans or prep whatsoever.Thought it was a good career choice and specially my parents wanted me to study here as I was unable to get into any desired varsity after HSC. But it's been two semesters now and I still don't have any idea why I'm here. But I really wanna do well with this subject and build a career with it and I'm willing to work hard too. But is it too late?
ReplyDeleteBecause I don't know how I passed my first semester,a bit of luck maybe but apart from that nothing was good about the very first course of my varsity life. I think a lot of credit goes to the faculty ! (wink wink!) After that it was CSE 173, there were no programming whatsoever and I got an A. But now when I'm doing JAVA this semester, I'm facing the same problem again in lab. Because as my learnings from CSE 115 was not so good, I'm facing problem with some basics. What can I do to improve my basics, and also to do well later on in NSU life.
Let's say I wanna do a fresh start! And is it too late for me? I'm from 1711 batch @RaiyadRaad
অসাধারণ লিখেছেন।
ReplyDeleteধন্যবাদ আপনাকে....ভাল লিখছেন
ReplyDeleteকি বিষয়ে পড়লে ভাল হবে
ReplyDeleteআমি S.s.c science থেকে4:00 এবং H.s.c Business managmant (BM) থেকে 3:79 পাইছি, অামি C.S.E পড়তে পারবো কোনো প্রাইবেট বিশ্ববিদ্যালয়ে?
ReplyDeleteonek valo likhchen vaiya 😎
ReplyDeletethanks a lot✌
ReplyDeleteVai cse porar jonno ki ieb vukto private university te pora joruri?
ReplyDeleteভাই অসাধারণ লেখছেন...
ReplyDeleteখুব ভালোলাগলো....
ReplyDeleteখানকি মাগির বাচ্চা তোর বাপ গাঞ্জা খায় লটি মাগির বেটা
ReplyDeleteখানকি মাগির বাচ্চা তোর বাপ গাঞ্জা খায় লটি মাগির বেটা
ReplyDeleteভালো কথা বলছে তো তাই আপনার সহ্য হয়নি। হাহাহাহা, আপনার দ্বারা কোনোকিছুই হবে না।
Deletehelpful post. thanks
ReplyDeleteRealy Good Post...
ReplyDeleteভাইয়া আমি Hsc তে তেমন একটা লেখাপড়া করিনি৷
ReplyDeleteকম্পিউটার সম্পর্কেও খুব বেশিকিছু বুঝি না৷
মায়ের ইচ্ছা CSE তে পড়ানোর৷
আমি না করা সত্ত্বেও খুব চাপ দিচ্ছে CSE তে পড়তে৷
আমার ইচ্ছা হলো আমি যেটাতেই পড়ি ভাল করে পডব বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা৷
তবে কথা হলো এই আমি পড়ালেখার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করতে চাই৷যাতে নিজের খরচ নিজে চালাতে পারি
ভাই csc তে পড়লে আর কিসে কিসে চাকরি করা যায়
সফটওয়ার কম্পানি ব্যাতিত
একটু যদি বলতেন..
ভাই একটা কথা বলি, মাইন্ড কইরেন না, মায়ের পছন্দে বা বাবার পছন্দে নয়। নিজের পছন্দে নাও সাবজেক্ট। না হলে শেহশে এসে আমার মতো কপাল চাপড়াবা আর বলবা হায় হায় এ কি হলো আমার
DeleteYeah... I agreed....
DeleteSuper
ReplyDeletesir apnr sathe kotha boltam... please anyway to contract you....
ReplyDeleteThanks
ReplyDeletevai , vorti hoyechilam CSE, but ekhn mone hocche r chalate parbo nah, 4 th semester running but already 3 ta sbject e retek khaia boisha achi. ami ki dept change korbo naki eitai thakbe? somoy er bebodhane ki tik hobe naki change e kore felbo? kun ta valo hobe? r 4 th semester running bolsi kno? 4th er final dicchi
ReplyDeleteThanks
ReplyDeleteWould you like to talk to, ,,,, please talk to me? What is your mobile number? It is a mobile phone or a SMS,
ReplyDeleteNU তেও নাকি CSE আছে শুনলাম.......সত্যি নাকি??
ReplyDeletethanks
ReplyDeleteঅসাধারণ লেখে যা পড়ে মনটা বোরে গেলো
ReplyDeleteআমি কমার্স এর ছাত্র, আমি কি cse পড়তে পারবো?
ReplyDeleteআমার IT ছাড়া অন্য কোন কিছুতে পড়ার ইচ্ছা নেই। আমার আগ্রহ IT তেই। আমি এই বিষয়েই পড়তে চাই।
আমি এখন কি করতে পারি???
ভাইয়া আমি কমার্স এর ছাত্র। এইচএসসি খুব বাজে ভাবে পাস্ করেছি। আমার খুব ইচ্ছে আমি সিএসই পড়বো। আমি কি চাইলেই সিএসই পড়তে পারবো?? আমি কমার্স এর ছাত্র, এইচএসসি র ফলাফল ভালো হয় নাই, এর জন্য কি আমি সিএসই পড়তে পারবো না?
Deleteভাই commerce এর ছাত্র কি cse করতে পারবে?
Deleteএকমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররাই সিএসসি পড়তে পারেন
Deleteবাড়ি থেকে বলছে যে ইন্টার পরিক্ষা হোক তারপর কম্পিউটার কিনিস,আমার সি এস ই পড়ার ইচ্ছা আছে অনেক, আমার যদি কম্পিউটার সম্পকে ততোটা ধারণা না থাকে তবে কি সমস্যা হবে?, নাকি আমি এখনও কম্পিউটার কিনে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করবো? মতামত দিবেন আসা করি।
ReplyDeleteআমি মানবিকের ছাত্র। আমি কি
ReplyDeletecse নিয়ে পড়তে পারব?
আমি মানবিকের ছাত্র। আমি কি
ReplyDeletecse নিয়ে পড়তে পারব?
আমি মানবিকের ছাত্র। আমি কি
ReplyDeletecse নিয়ে পড়তে পারব?
Vai বড় উপকার হলো।।👍
ReplyDeleteমানবিক কোন স্টুডেন্ট সিএসই তে ভর্তি হতে পারবে?
ReplyDeleteNice
ReplyDeletebai 1st semester a. 98 porar ta ta 0.00.cse salia jabo ki na sondaha asi...
ReplyDeleteযদি আগে জানতাম অনেক উপকার হতো
ReplyDeleteভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে
ReplyDeleteআপনার এই পোস্টটি থেকে অনেক কিছু জানলাম।
Vai ThankyTha very much
ReplyDeleteToday I'm knowing all of CSE only for you thank you so much and EiD Mubarak 😍 Vai
helpful post. thanks
ReplyDeletevaiya ami ssc science theke dici..ar hsc arts theke dici...ekn ki ami cse te porte parbo...amr cse te porar khub icca...plz vaiya ektu janaben plz...
ReplyDeleteজাযাকাল্লাহু খায়রান
ReplyDeleteখুব ভালো লিখেছেন ভাই।
ReplyDeleteভাইয়া লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে । পুরোটাই অনেক সময় নিয়ে পড়েছি। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।
ReplyDeleteখুবই উপকৃত হলাম ভাইয়া, আপনার আর্টিকেলটি পড়ে
ReplyDeleteReally sir,this is good post,thank you sir,
ReplyDeleteঅনেক ভালো হয়েছে, ভাইয়া। গাইডলাইনের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ReplyDeletespeechless❤
ReplyDeleteসুন্দর লিখেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ।
Deleteভাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এ arts থেকে CSE তে কি ভর্তি হইতে পারবো না?
ReplyDeletes.s.c & h.s.c te kemon result proyojon vai aktu jodi bolten.
ReplyDeleteভাইয়া অনেক কষ্ট করে লেখাটা লিখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।🥰🥰
ReplyDeleteআমি এইস,এস,সি তে মানবিক শাখা থেকে পাস করেছি! কিন্তু মানবিক শাখা থেকে সিএসই পড়া যাবে? আর আপনার সাথে আমি ডিরেক্টলি কথা বলে চায়!
দয়া করে আপনার সাথে কন্টাক্ট করার ব্যবস্থা করে দেন!
ভাই আপনাকে অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ❤️😍
ReplyDeleteভাই CSE নিয়ে আরো কোন দিকনির্দেশনা থাকলে আরেকটা পোস্ট লিখুন। আপনার এই লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমার কাজে লেগেছে।
ReplyDeleteভাইয়া খুবই উপকারী পোস্ট।
ReplyDeleteআমার ক্ষেত্রটা আসলে ক্রিটিকাল।
আমি উপযুক্ত মানুষের অভাবে শেয়ার করতে পারছিনা ব্যাপারটা কারো সাথে। আপনাকে জানাচ্ছি আপনি অবশ্যই সেটার উত্তর দিবেন।
প্রথমত আমি বিসনেস স্টাডিসের স্টুডেন্ট।
ইন্টার কথা কমপ্লিট করেছি ২০১৮ তে ইরিগ্যুলার স্টুডেন্ট। আমার ছোট বেলা থেকেই কম্পিউটার জিনিসটার প্রতি আগ্রহ আর টান বেশি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সায়েন্স নিয়ে পড়া হয়নি আমার।
এই ২০২১ এ বসে এখন আমি চাই আবার পড়াটা শুরু করতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে। এক্ষেত্রে আমাকে কিভাবে আগাতে হবে। সরকারি তে তো পসিবল না। প্রাইভেটে করতে হবে। কিভাবে আগাবো, শুরু করবো? আমার এটার জন্য যদি আগামী ১ যুগ ধরেও পড়ালেখা করতে হয় আমি জান লাগায় দিবো এর পেছনে কিন্তু আমি সঠিক গাইডেনস পাচ্ছিনা।
কোথায় যেতে হবে? যেহেতু কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডেন্ট এটা বাদ দিয়ে আলাদা কি কি ডিগ্রি নিতে হবে
কি নিয়ে নতুন করে পরতে হবে? আদোও আমাদের দেশে সেই সুবিধা আছে কিনা? কিছুই জানিনা। এই সেক্টরে কেও পরিচিত না থাকায় ইনফরমেশন পাচ্ছিনা।
কাওকে শেয়ার করলেও পাগল ছাগল ডেকে রাখে না।
আপনিও ডাকতে পারেন কিন্তু আমি ডিটারমাইন্ড।
আসসালামু আলাইকুম ভাই... আমি ভাই ছোট মানুষ... বেয়াদবি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন... আপনার মতো আগ্রহী স্টুডেন্টদের জন্য আমার একটা সাজেশন রইলো,,, যারা মানবিক বা ব্যবসায় শাখা থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেছেন তাঁরা যদি অনেক চেষ্টার পরেও কোনো ইউনিভার্সিটিতে CSE নিয়ে পড়ার সুযোগ না পান তবে একটা কাজ করতে পারেন... কাজটা কি বলুন তো?... আপনারা একটু পিছিয়ে যান পড়ালেখায়... আমি বলতে চাইতেছি,,, আপনি ধরে নিন, চলতি শিক্ষা বছরে এইচএসসি সম্পন্ন করেছেন... এখন আপনি চাইলে এই বছর অনার্স এ এডমিশন নিতে পারেন... কিন্তু যদি আপনার একান্তই CSE এর উপর খুবই আগ্রহ থাকে তবে কোনো একটি পলিটেকনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে Computer Technology নিয়ে প্রথমত ৪ বছরের একটা কোর্স করুন... অতঃপর ইনশাআল্লাহ,,, আপনি অবশ্যই সরকারি কিংবা প্রাইভেট অথবা দেশের বাইরে যেকোনো ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন নিতো পারবেন CSE নিয়ে পড়ার জন্য... অন্যথায় আমার জানামতে,,, আপনি বিকল্প কোন সুযোগ পাবেন না আপনার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য...
ReplyDeleteআবারও বলছি,,, আমার সাজেশন যদি ভালো লাগে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন... আর যদি আমার লেখায় কোনো প্রকার ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তা পারলে আমাকে জানাবেন অন্যথায় ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন... আমি ছোট মানুষ...
আমার ফেসবুক লিংক... চাইলে কন্টাক্ট করতে পারেন...
https://www.facebook.com/mohammad.gris
ধন্যবাদ ভাই।
ReplyDeleteভাই একজনের সিএসই পড়ার জন্য যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা উচিত তা আমার মধ্যে আছে এটা আমি বুঝতে পারি।আমার কম্পিউটারে উপর কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা আছে।সাথে প্রোগ্রামিংয়েও কিছুটা।আমি কম্পিউটার টেকনোলজির প্রতি খুব আগ্রহী।আমি সিএসই নিয়ে পড়তে চাই।আমি সিএসই নিয়ে অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে যতটুকু জানলাম যে সিএসই নিয়ে পড়তে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসি তে সাইন্স বিভাগ থেকে পাস করতে হয়😩।কিন্তু আমি এইচএসসি তে মানবিক।আমি কি সিএসই তে পড়তে পারব।আপনি কাইন্ডলি একটু সময় করে জানাবেন।নয়তো আমার স্বপ্ন ভেঙে যাবে😔
ReplyDelete