Monday, July 11, 2016

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পোলাপাইন আসলে করেটা কি? [ রহস্য উদঘাটন পোস্ট ]



  • আচ্ছা একটা ইউনিভার্সিটিতে ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়ে মেয়েরা ঘুরে বেড়ায় আবার সেই ইউনিভার্সিটিতে এত জঙ্গি আসে কিভাবে?
  • এতগুলো বড়লোকের ছেলেপেলে এখানে আসলে করেটা কি?
     
  • NSU তে নাকি টাকা দিলেই সার্টিফিকেট দেয়?
     
  • NSU এর পোলাপাইনদের নাকি পড়াশোনা করা লাগে না। এমনিতেই জব পেয়ে যায়?
  • NSU তে নাকি JNG 101 নামে একটা কোর্স আছে যেখানে জঙ্গিশিক্ষা দেওয়া হয়। TBA নাকি এই কোর্সের জন্য বেস্ট টিচার !



সৃষ্টির শুরু থেকেই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি নিয়ে মানুষের মারাত্নক চুলকানী। বছরের এমন কোন মাস নেই যেই মাসে এই ইউনিভার্সিটির কোন একটি ঘটনা নিয়ে এই ভার্সিটির স্টুডেন্টদের বাইরের মানুষদের তর্ক করতে দেখা যায়না। NSU এদের কাছে এরিয়া ৫১ এর মতই রহস্যময় একটা জায়গা। NSU এর আইডি কার্ড চেকিং, হাটবাজারের মুরগীর দুধ, NSU তে লাইম এন্ড থাইম রেস্টুরেন্টের ঘটনা, NSU এর গ্যালারী, NSU এর মডেল, হারানো জিনিসের নিলাম ইত্যাদী বিষয় নিয়ে প্রতি মাসেই ফেসবুকে মানুষরা মেতে থাকে।


এসব তর্ক-বিতর্ক-পচানী নিয়ে আমি বেশি মাথা ঘামাই না। কেননা মাথা ঘামানোর মত সময় নেই। বাংলাদেশের "লাইক দিয়ে এক্টিভ আছি" অনলাইন জেনারেশনের কাজই এসব করা। কিন্তু ব্যাপারটা যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে যায় সেটা খুবই বিব্রতকত হয়ে দাঁড়ায় NSUer দের জন্য।


জঙ্গির কোন দেশ-জাতি-ধর্ম-বর্ণ-বিশ্ববিদ্যালয় নাই। একজন জঙ্গির একমাত্র পরিচয় সে জঙ্গি। এজন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কখনোই সম্পূর্ণ দায়ী করা যায়না আর সেখানের সব শিক্ষার্থীদের জঙ্গি বলা যায়না। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই স্টুডেন্টদের জঙ্গি হওয়ার শিক্ষা দেয়না যাতে তারা মানুষ মেরে সেই প্রতিষ্ঠানের দূর্নাম করে। তবে এসব জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলোয় NSU এর স্টুডেন্টদের সংখ্যা বেশি দেখা গিয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ভার্সিটির সুনাম ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে আমি আশা করি। এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাতেও সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও সন্দেহজনক কর্মকান্ড খতিয়ে দেখা উচিত। আজ NSU তে পড়ুয়া জঙ্গি ধরা পড়েছে কাল কোন স্কুলে পড়ুয়া জঙ্গিও ধরা পড়তে পারে। আর তাতে সেই স্কুলের দূর্নাম করে মানুষেরা শিক্ষার্থীদের পচিয়ে ফেলবে, বিদেশেও পৌছে যাবে তাদের দূর্নাম এটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

জঙ্গি, ধর্ম বা এসব জিনিস নিয়ে ক্যাচাল করতে এই পোস্ট লিখছি না। NSU সম্পর্কে কিছু পজিটিভ ফ্যাক্ট তুলে ধরে মানুষের ভূল ধারণা দূর করতে চাচ্ছি। অন্য সব ভার্সিটির মত এই ভার্সিটিতেও স্টুডেন্টদের নানান সমস্যা আছে। এ নিয়ে NSU কে আমি নিজেও মনে মনে অনেক গালি দেই। কিন্তু আজ কিছু পজিটিভ ব্যাপার তুলে ধরলাম NSU সম্পর্কেঃ

১. নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ বিজনেস বাংলাদেশের প্রথম ভার্সিটি যা আন্তর্জাতিক ACBSP Accreditation পেয়েছে। যা প্রমাণ করে NSU বাংলাদেশের টপ বিজনেস স্কুলের একটি।



২. আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এসিএম আইসিপিসি তে NSU সুনাম ধরে রেখেছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এসিএম আইসিপিসির এশিয়া রিজিওনাল কনটেস্ট হোস্ট করে আসছে NSU. এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু প্রোগ্রামিং কনটেস্ট জয় করেছে NSU এর প্রোগ্রামিং টিমগুলো। অংশগ্রহন করেছে এসিএম আইসিপির ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে। 



৩. নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রতিটি টিচারই হাইলি কোয়ালিফাইড। সবাই-ই বাইরের দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে পড়াতে এসেছেন। রয়েছেন বেশ কিছু ফরেন ফ্যাকাল্টি মেম্বার।

৪. NSU তে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ক্লাব। প্রায় ২০টি অফিশিয়াল ক্লাব রয়েছে যা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইভেন্টের আয়োজন করে থাকে বছরজুড়ে।



৫. বছরের ৩৬৫ দিনের মাঝে ৩২০ দিনই NSU তে লেগে থাকে কোন না কোন অনুষ্ঠান, সেমিনার বা কনসার্ট। পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা ফাল্গুন প্রত্যেক বিশেষ দিবসেই NSU সাজে নতুন রূপে।



৬. NSU এমন একটা ইউনিভার্সিটি যেখানে আপনি সব ধরনের শিক্ষার্থী খুজে পাবেন। সেখানে কোটিপতির সন্তান, মফস্বলের ছেলেমেয়ে, মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান, ফরেনার স্টুডেন্ট সব ধরনের শিক্ষার্থীরাই আছে। NSU শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়দের জন্য এ কথাটি ঠিক নয়। তবে হ্যা, বেশীরভাগ শিক্ষার্থীই উচ্চবিত্ত পরিবারের। কিন্তু এখানে তারা সবাই একই সাথে পাশাপাশি বসে ক্লাস করে, আড্ডা দেয়, পড়াশোনা করে থাকে। কেউ কারো মাঝে বিভেদ করে না।

৭. " নর্থ সাউথের ছেলেরা তো বদ, মেয়েরা আরো বদ! "
এমনটাই বলে থাকেন এখনকার "আপু এড মি আই এম ব্লক" জেনারেশনের পাবলিকেরা। তাদের মতে নর্থ সাউথের ছেলেরা গাজাখোর, ড্রাগ নেয় আর মেয়েদের সাথে ডেটিং করে। আর মেয়েরা অর্ধনগ্ন হয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায়, পড়াশোনা করে না, মডেলিং করে। আগেই বলেছি, নর্থ সাউথ এমন একটা জায়গা যেখানে সমাজের সব শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা রয়েছে। সুতরাং গাজাখোর, ড্রাগ এডিক্ট, মডেল - সব ধরনের পোলাপাইনই এখানে থাকবে। কিন্তু আপনি ক্যাম্পাসে এলেই বুঝতে পারবেন ব্যাপারটা সেরকম না। এখানে সবাই নিজেদের মত ব্যস্ত। ক্লাস, পড়াশোনা, মিড, প্রেজেন্টেশনের ফাকে সময় খুবই কম সবার। যে যার মত কাজ করে যায়, কেউ অন্যের কাজে নাক গলায় না। ক্যাম্পাসে এলেই সেটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। তবে আপনি ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না। আপনার আসার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে এখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না। নর্থ সাউথের ছেলেমেয়ে নিয়ে এরকম কুরূচিপূর্ণ মতামত যারা দেয় তাদের থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখার জন্যই ঢুকতে দেওয়া হয়না। 



৮. নর্থ সাউথের ক্যাম্পাসে রয়েছে কঠোর নিয়মকানুন। ক্যাম্পাসের টয়লেট বাদে প্রতিটি এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আন্ডারে। যেকোন সন্দেহজনক শিক্ষার্থীকেই সিসিটিভির ফুটেজ দিয়ে ধরা হয়। প্রতি সেমিস্টারে অপরাধী শিক্ষার্থীর লিস্ট, তাদের অপরাধ ও কি শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা এডমিন বিল্ডিংয়ে লিস্ট করে ও স্টাডি হলের স্ক্রীনে দেওয়া হয়। আমাদের ক্যাম্পাস মেয়েদের জন্য সবচেয়ে সেইফ ক্যাম্পাস। এখানে কোন র‍্যাগিং বা ইভ টিজিং এর ঘটনা ঘটে না। কেউ ঘটানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা করলেই তাকে ভার্সিটি থেকে বহিস্কার করা হয়। পুরো ক্যাম্পাস স্মোকিং ফ্রি জোন। আইডি ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে না, ধরা পড়লে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা।

৯. মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য NSU প্রচুর পরিমানে স্কলারশীপ দিয়ে থাকে প্রতি সেমিস্টারে। অনেকেই ২৫%, ৫০% বা ১০০% স্কলারশীপে পড়াশোনা করে থাকে। এজন্যই এটা শুধুমাত্র উচ্চবিত্তের ভার্সিটি নয়। অনেকেই প্রচুর কষ্ট করে নিজে টাকা কামাই করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালায়। এরপর থেকে নর্থ সাউথের কোন শিক্ষার্থীকে বড়লোকের পোলা বলার আগে একটু চিন্তা করে বলবেন।

১০.  নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক অডিটোরিয়াম, বিশাল ক্যাফেটেরিয়া, বিশাল লাইব্রেরি, স্টাডি হল, গ্যালারী, বয়েজ ও গার্লস লাউঞ্জ, বুক স্টোর। খেলাধুলার জন্য রয়েছে খেলার মাঠ, ইনডোর বাস্কেটবল কোর্ট, টেবিল টেনিস, ক্যারাম, দাবা খেলার ব্যবস্থা। 



১১. NSU এর ক্যাম্পাস পলিটিক্স, র‍্যাগিং ও ইভ-টিজিং ফ্রী। এখানে সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকে।

১২. পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার জন্য কিছু ব্যবস্থা রয়েছেঃ

- পুরো ক্যাম্পাস ওয়াইফাই এর আওতায় রয়েছে।
- মোবাইল রিচার্জের জন্য রিচার্জ মেশিন রয়েছে।
- ক্লাসের ফাকে চাঙ্গা হবার জন্য রয়েছে কফি মেশিন।
- লাইব্রেরীতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির অটোমেটিক বুক কিপিং মেশিন, ক্লাউড লাইব্রেরী।
- অনলাইনে বাসায় বসে কোর্স রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা।
- সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের জন্য কমপ্লেইন বক্স।
- প্রতি ফ্লোরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে পরিষ্কার টয়লেট। রয়েছে অযু করার ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা।
- ইন্টার্নশিপ, জব ও দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সাহায্যের জন্য আছে Career and Professional Development Services (CPDS)
- শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও মেন্টাল কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা রয়েছে NSU তে।












13 comments:

  1. Replies
    1. Really nice words, bruh... appreciate...

      Delete
  2. বাংলাভাই যুগের জেএমবি পরবর্তিতে আলোচিত কয়েকটি জঙ্গি হামলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বা বর্তমান ছাত্রদের সংশ্লিষ্টতা (ফেডারেল রিজার্ভে হামলার পরিকল্পনাকারী নাফিস, ব্লগার হত্যা, সম্প্রতি গুলশান ট্রাজেডি) উদ্বেগের বিষয়। হ্যা হাজার হাজার স্টুডেন্ট এর মধ্যে থেকে ১০/২০ জনের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতাতে পুরো নর্থসাউথের সব স্টুডেন্ট জঙ্গি হয়ে যায়না। এতে সাধারণ স্টুডেন্টদের কোন দায়ভার নেই, কিন্তু ক্রমাগত একটি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের নামই বারবার চলে আসে তখন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ/ম্যনেজমেন্ট জঙ্গি ইস্যুতে হয় উদাসীন নতুবা তারা জ্ঞাতসারেই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি তাদের উদাসীনতা থাকে তাহলে ম্যানেজমেন্ট নতুন করে ঢেলে সাজানো উচিত, আর যদি তারা জ্ঞাতসারেই জঙ্গিবাদককে প্রশ্রয় দিয়ে থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠান টি বন্ধ করে দেয়া উচিত। সাধারণ ছাত্রদের কোন দায়ভার না থাকায় তাদেরকে দায়ী করা উচিত নয়, তারা অনেকটাই অন্যায় ভাবে অন্যের পাপের ফল ভোগ করতে পারে (যেমন উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরের ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন বা ক্রেডিট ট্রান্সফার এর ক্ষেত্রে জঙ্গি ইস্যু একটা ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে), যা দুঃখজনক। আপনার পোস্টের NSU এর সুযোগ সুবিধা দেখে বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় কেন এত টাকা খরচ করে মানুষ সেখানে পড়ে, কিন্তু যখন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন আসে তখন বিষয়টি গুরত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার জানামতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সিকিউরিটি বাড়ানো, ছাত্রদের উপস্থিতির ওপর কড়াকড়ি, সেমিষ্টার ড্রপের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

      Delete
  3. নর্থ সাউথ নিয়ে কিসু পজিটিভ লেখা.............

    ReplyDelete
  4. খুব ভাল লিখেছেন ভাই :D

    ReplyDelete
  5. sobai ekta kotha bole maximum cheeraai tw last kichu terrorist attack er sobai e NSU student, sondeho lagar kothai! tbe amar sondeho ta onno jaygay. NSU te maximum student even faculty western culture follow kore, terrorist der main target tw erai. amar mone hoy eta ekta controversy isis er. tader kacheto aro onk member ache, beche beche tara keno e ba nsu er der sob jaygay anlo? i don't know why but kichudin age ei beparta amar mathay ashlo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার সন্দেহ পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগকে জানান। কাজে লাগবে।

      Delete
  6. NSU jongi banay ata sobai jane.NSU er administration change kora uchit. ar apni ja ja facility er kotha bolchen asob aro onk uni tai ache but ora tho jongi banay na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. NSU কেন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই জঙ্গি বানায় না। জঙ্গি যে যার নিজের ইচ্ছাতেই হয়। এই ঘটনার পর NSU যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। আরো কি কি পরিবর্তন করা উচিত তা NSU অথোরিটিকে জানান।

      Delete
  7. NSU jongi banay ata sobai jane.NSU er administration change kora uchit. ar apni ja ja facility er kotha bolchen asob aro onk uni tai ache but ora tho jongi banay na.

    ReplyDelete
  8. At first I'd like to state that I'm ashamed like any NSUer and NSU Alumni as ex-students and present students of NSU were found as terrorists who did the heinous crime of killing any other human being ... When I was a student at NSU; I saw Hizbut Tahrir wanted to recruit the students there and we opposed them with best possible non-violent effort (we had our own method for that) ... And some people are stating that NSU creates terrorist and everybody knows that. Can they please give some real source regarding this? I would love to share that with relevant authorities. In fact I'd like them to share those sources with the authorities (RAB, DGFI, CID, etc.) ... If they wanna talk straight they're most welcome ... But if they're NSU haters; then I'd consider my statement here falling into deaf ears because they've come here with a specific mindset to bully NSU at any opportunity but not to help to eradicate the terrorism that is hurting the whole country ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. Exactly. Most of them don't come to any logical discussions. They are just cursing NSU everywhere. We all are trying to solve the problem. Blaming the University and all the students won't do any good.

      Delete

Hi ! I'm Raad. And this my personal blog. Welcome to my blog.